মদ খাওয়ার সময় শরীরে দ্রুত ঘাম হয়। এতে শরীর দুর্বল লাগে এবং পরদিন হ্যাংওভার আরও বেশি হয়। তাই প্রতি পেগ মদের সঙ্গে অন্তত এক গ্লাস জল পান করুন। এতে কিডনিও ভাল থাকবে এবং শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।
প্রতিদিন মদ খেলেও তার একটা সীমা থাকা উচিত। পুরুষদের জন্য দিনে সর্বোচ্চ ২টি ড্রিঙ্ক এবং মহিলাদের জন্য ১টি ড্রিঙ্ককে নিরাপদ ধরা হয়। এই সীমার বেশি হলে যকৃৎ (লিভার), কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতি শুরু হতে পারে।
অনেকেই আনন্দের মধ্যে পড়ে একসঙ্গে ৩-৪ পেগ গিলে ফেলেন। কিন্তু এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। অ্যালকোহল হজম হতে সময় লাগে। ধীরে ধীরে মদ পান করলে শরীর সময় পায় সেটিকে প্রক্রিয়াজাত করার, ফলে ক্ষতি অনেকটাই কমে।
মদ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনার খাদ্যতালিকাও হওয়া উচিত পুষ্টিকর। অ্যালকোহল লিভারে চাপ ফেলে, তাই এমন খাবার খান যা লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, যেমন লেবু, বিট, গাজর, হালকা তেলযুক্ত মাছ। junk food এড়িয়ে চলুন।
অনেকেই মদ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিগারেটও খান। এটি শরীরের জন্য দ্বিগুণ ক্ষতিকর। দুটোই লিভার, ফুসফুস এবং হার্টে প্রভাব ফেলে। তাই একসঙ্গে এই দুই অভ্যাস বজায় রাখলে বিপদের আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
প্রতিদিন মদ খেলে শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম খুবই জরুরি। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে পরদিন ক্লান্তি, বিরক্তিভাব এবং মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে। ঘুমই শরীরকে পুনরুজ্জীবিত রাখে।
রোজ মদ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে কিছু নিয়ম মানা ভীষণ জরুরি। এগুলো শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না, বরং দীর্ঘদিন ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত নয়, নিয়ন্ত্রণই হলো চাবিকাঠি!
Comments
Post a Comment