জামের রং হবে যত গাঢ়, ততই বেশি হবে তার উপকারিতা!

জামের গাঢ় বেগুনি বা কালো রং এর পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক যৌগ, অ্যান্থোসায়ানিন। এই রঙ্গকটি জামকে দেয় গাঢ় বেগুনি বা কালো রঙ এবং একইসাথে আমাদের শরীরকে দেয় অসাধারণ সুরক্ষা।

অ্যান্থোসায়ানিন হলো একটি প্রাকৃতিক ফ্ল্যাভোনয়েড শ্রেণির উপাদান, যা ফলমূল ও শাকসবজিতে গাঢ় রঙের জন্য দায়ী। এটি শুধু রঙই দেয় না, বরং কাজ করে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে। এটি শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

গাঢ় জামে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন রক্তনালীর গঠনে সহায়তা করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক করে।

জাম প্রাকৃতিকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্থোসায়ানিন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্থোসায়ানিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে। বিশেষ করে স্তন, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকর।

অ্যান্থোসায়ানিন মস্তিষ্কের কোষে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমায়।

জাম খেলে রেটিনার রক্তপ্রবাহ বাড়ে, চোখের ক্লান্তি দূর হয় ও রাত্রিকালীন দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।

জামে থাকে ভিটামিন C, যা ত্বকের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে, বলিরেখা কমায় এবং ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ২০-৩০% পর্যন্ত।

অ্যান্থোসায়ানিন ছাড়াও জামে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও ফেনলিক অ্যাসিড যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ্য ও সবল রাখে।

Comments