আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ থাকে, কিন্তু সবার মানসিক শক্তি একরকম নয়। কেউ হন আত্মবিশ্বাসী, চ্যালেঞ্জ নেন খুশি মনে, আবার কেউ হন চুপচাপ, আত্মবিশ্বাসহীন এবং সহজেই ভেঙে পড়েন।
মানসিকভাবে দুর্বল মানুষেরা বাহ্যিকভাবে স্বাভাবিক মনে হলেও তাদের কিছু আচরণ, কথা ও চিন্তাধারা দেখে সহজেই বোঝা যায় তারা ভিতরে ভিতরে কতটা ভেঙে পড়েছেন।
দুর্বল মনের মানুষের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, নিজের উপর বিশ্বাস না থাকা। তারা সবসময় ভাবেন, "আমি পারবো না", "আমি যথেষ্ট ভালো নই"। এমনকি ছোট ছোট কাজের জন্যও অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। নিজের সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেন না।
তারা প্রায়ই নেতিবাচকভাবে চিন্তা করেন। যে পরিস্থিতিতেই পড়ুন না কেন, প্রথমেই খারাপ দিকটাই আগে ভাবেন। যেমন ধরুন, একটা নতুন কাজের সুযোগ পেলে তারা আগে ভাববেন "না পারলে কী হবে", "লোকে হাসবে", ইত্যাদি।
ছোট ছোট বিষয়েও তারা অতিরিক্ত ভয় পান। পরীক্ষার আগে, সাক্ষাৎকারের আগে বা যেকোনো পরিবর্তনের আগে তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ভবিষ্যৎ নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন, যা তাদের সিদ্ধান্তগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায়।
দুর্বল মনের মানুষ প্রায়ই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন না। তারা চায় সবকিছুতে অন্য কেউ তাদের বলুক, কী করবেন, কীভাবে করবেন। ফলে তারা সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হন।
এই ধরনের মানুষরা নিজের ভুল মানতে চান না। ভুল হলেও সেটা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন, বা অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপান। কারণ ভেতরে ভেতরে তারা খুব ভয় পান অপমানিত হওয়ার।
দুর্বল মনের মানুষরা অতীত ভুলতে পারেন না। পুরনো কষ্ট, অপমান বা ব্যর্থতা তাদের মনে গেঁথে থাকে। এসব ভাবনা তাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
কোনো কঠিন পরিস্থিতি এলেই তারা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। হতাশা, কান্না বা হাল ছেড়ে দেওয়া তাদের সাধারণ প্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে, মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষ কষ্ট পেলে আরও শক্ত হয়ে ওঠেন।
Comments
Post a Comment