আপনি কি কখনও এমন কোনো শব্দ শুনেছেন যার উচ্চারণে সময় লাগে তিন ঘণ্টা? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, একেবারে সত্যি। এই শব্দটি এতটাই দীর্ঘ যে একে এক নিঃশ্বাসে বলা তো দূরের কথা, এর বানান দেখলেই মাথা ঘুরে যেতে পারে! আজ আমরা জানব সেই অদ্ভুত শব্দটি কী, কেন এটি তৈরি হয়েছে এবং এর পেছনে মজার ইতিহাস।
এই শব্দটি কী?
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা শব্দটি হলো:
"Methionylthreonylthreonylglutaminylarginyl…isoleucine" (পূর্ণ শব্দটি এখানে দেওয়া হয়নি কারণ এতে রয়েছে প্রায় ১,৮৯,৮১৯টি অক্ষর!)
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই দেখেছেন - এই শব্দের পূর্ণ উচ্চারণে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘণ্টা!
এই শব্দের অর্থ কী?
এই শব্দটি হলো Titin নামক একটি প্রোটিনের রাসায়নিক নাম। Titin হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রোটিনের একটি, যা মানব দেহের পেশিতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞান অনুযায়ী, এই পুরো নামটি আসলে প্রোটিনটির প্রতিটি অ্যামিনো অ্যাসিড উপাদানের নাম যোগ করে বানানো হয়েছে। বিজ্ঞানীদের কাজের সুবিধার্থে এই পূর্ণ নামটি তৈরি করা হয়েছে।
কেন এত বড় শব্দ তৈরি করা হলো?
- এটি মূলত বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল, যেন টাইটিন প্রোটিনের সব উপাদান একত্রে উল্লেখ করা যায়।
- যদিও এটি কোনো অফিসিয়াল বা দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দ নয়, তবুও এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম শব্দ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।
- অভিধানে এটি পাওয়া যায় না, কারণ শব্দটি একটি প্রোটিনের রাসায়নিক নাম হিসেবে গৃহীত।
এই শব্দটি কি কেউ মুখস্থ করতে পারে?
এমন বিশাল শব্দ কেউ মুখস্থ করতে পারবে বলে মনে হয় না। তবে ২০১৯ সালে একজন ব্যক্তি পুরো শব্দটি উচ্চারণ করে দেখান, যা ইউটিউবে তিন ঘণ্টার একটি ভিডিও আকারে রয়েছে!
শেষ কথা
পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে, যা আমাদের কল্পনারও বাইরে! একটি শব্দ যদি তিন ঘণ্টা ধরে উচ্চারণ করতে হয়, তাহলে ভাবুন পৃথিবী কত বিস্ময়কর! ভাষা, বিজ্ঞান আর মজার তথ্যের এই সম্মিলন আমাদের জানার পরিধিকে বাড়িয়ে দেয় প্রতিদিন।
আপনার কী মনে হয়? আপনি কি কখনও এমন কোনো অদ্ভুত শব্দ শুনেছেন? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
Comments
Post a Comment