এই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিড়ালের উপস্থিতিতে মানুষের শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন আমাদের মস্তিষ্কে আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। শুধু বিড়ালের নরম গায়ে হাত বোলানো বা কোলে নিয়ে বসে থাকাই অনেকটা ‘স্ট্রেস রিলিফ’ এর মতো কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিড়ালের সান্নিধ্য আমাদের মনোযোগ এবং মানসিক স্থিরতা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটান, তাঁরা অনেক বেশি সংবেদনশীল, ধৈর্যশীল এবং সহানুভূতিশীল হন।
শুধু মানসিক নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়ালের উপস্থিতিতে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি যাঁরা বিড়াল পোষেন, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি করা হয়েছে। বিড়ালের নরম আওয়াজ ও শান্ত আচরণ একটি পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করে যা আমাদের শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেয়।
বিশ্বের অনেক থেরাপি সেন্টার আজ পোষ্যভিত্তিক থেরাপি ব্যবহার করছে যেখানে বিড়ালের মতো প্রাণীর উপস্থিতি রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বা নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বিড়াল কেবল একটি পোষ্য প্রাণী নয়, বরং এক অনন্য মানসিক সঙ্গী। তার নিষ্পাপ চাহনি, শান্ত আচরণ, আর নির্ভরতা আমাদের জীবনে ভালোবাসা ও মানসিক স্থিরতা ফিরিয়ে আনতে পারে। তাই যদি আপনি অবসাদ বা মানসিক ক্লান্তিতে ভুগে থাকেন, তবে বিড়ালের সঙ্গে একটু সময় কাটিয়ে দেখুন, হয়তো নিজের মধ্যেই খুঁজে পাবেন নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা।
Comments
Post a Comment