এই স্মার্ট প্যান্টের ভিতরে রয়েছে ESP-32 মাইক্রোকন্ট্রোলার, একটি সেন্সর এবং ছোট ইলেকট্রনিক সার্কিট। প্যান্টের চেইনের অংশে বসানো সেন্সর যখন জিপ খোলার সংকেত পায়, তখন মাইক্রোকন্ট্রোলার তা ধরে নেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেয় পূর্বনির্ধারিত ফোনে। এটি এমনকি কতক্ষণ জিপ খোলা ছিল, তাও রেকর্ড রাখতে পারে!
এই উদ্ভট প্রযুক্তিটির নির্মাতা Guy Dupont, যিনি এক বন্ধুর মজার অনুরোধ থেকেই এই আইডিয়াটি বাস্তব করেন। তার বন্ধুর মতে, তিনি চান যদি কখনও তার প্যান্টের জিপ খোলা থাকে, তাহলে যেন তার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে তা জানতে পারেন! এই প্রোজেক্টটি তাই আধা-মজার, আধা-গভীর। কারণ এর পেছনে রয়েছে বিশ্বাস, গোপনীয়তা এবং আধুনিক সম্পর্কের অদ্ভুত রসায়ন।
এই স্মার্ট প্যান্ট যেমন মজার, তেমনি বাস্তব জীবনে কিছু সমস্যাও তৈরি করতে পারে। যেমন: ধুতে গেলে ভেতরের চিপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে, কিংবা চার্জ ফুরিয়ে গেলে আর কোনও বার্তাই যাবে না! আর সবসময় Bluetooth অন রাখা মানে ফোনের ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। তাই এই প্রযুক্তি এখনো মজার পর্যায়ে আছে, ব্যবহারিক সুবিধার চেয়ে।
এই খবর প্রকাশের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় হুলস্থুল পড়ে গেছে। কেউ বলছে, “এই তো ডিজিটাল জেল,” আবার কেউ বলছে, “বউয়ের নজরদারির নতুন অস্ত্র!” অনেকে আবার হাসতে হাসতে বলেছে, “প্যান্টেও এখন স্পাই বসানো লাগবে?” তবে সব মিলিয়ে, স্মার্ট প্যান্ট ইন্টারনেটে বেশ ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
এই উদ্ভাবনাটি শুধু মজার নয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও তোলে আমরা কী আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রযুক্তিকে ঢুকতে দিচ্ছি বেশি? স্মার্ট ঘড়ি, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট লক তো ছিলই, এবার স্মার্ট প্যান্ট! এরপরে কী আসবে? স্মার্ট জামা যেটা রাগ ধরলে লাল হয়ে যাবে? নাকি মোজা যেটা বলে দেবে আপনি কার কাছে গিয়েছেন?
এই স্মার্ট প্যান্ট নিঃসন্দেহে প্রযুক্তির এক ব্যতিক্রমী ও মজাদার প্রয়োগ। এটা হয়তো বাজারে বড় সাফল্য পাবে না, কিন্তু আলোচনার ঝড় তুলেছে ঠিকই। প্রযুক্তি কিভাবে হাসির বিষয় হয়েও আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে, তারই এক মজার উদাহরণ এটি। আপনি কি এমন প্যান্ট পরবেন? নাকি বলবেন – “থাক ভাই, আমি আমার জিপ নিজেই সামলাব!”
Comments
Post a Comment