বিজ্ঞান বলছে, যেসব পুরুষদের শরীরে বিশেষ করে বুকে ঘন চুল থাকে, তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। এই হরমোন পুরুষের শক্তি, সাহসিকতা এবং যৌন আকর্ষণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তাই এমন পুরুষরা সাধারণত আত্মবিশ্বাসী ও সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন।
অনেক মনোবিজ্ঞানী মনে করেন, বুকে চুলওয়ালা পুরুষরা অনেক সময় গম্ভীর ও আত্মকেন্দ্রিক হয়, আবার কেউ কেউ অত্যন্ত দয়ালু ও সুরক্ষাদাতা স্বভাবের হয়। তারা পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল এবং জীবনে স্থিতিশীলতা খোঁজে।
আগ্রহের বিষয়, অনেক নারীরাই বিশ্বাস করেন বুকে চুলওয়ালা পুরুষদের মধ্যে একটা "রাফ অ্যান্ড টাফ" আকর্ষণ থাকে। তারা তাদের বেশি পুরুষালি ও নির্ভরযোগ্য মনে করেন। যদিও এটা একেবারে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে এই ধরনের শারীরিক গঠনের প্রতি নারীদের একধরনের স্বাভাবিক টান রয়েছে।
এটি সত্যি যে, বুকে চুল থাকা বা না থাকা একান্তই জিনগত বিষয়। কিন্তু সমাজ ও সংস্কৃতির প্রভাবে এর ব্যাখ্যা গড়ে উঠেছে। কেউ কেউ মনে করেন, বুকে চুল থাকলে মানুষ বেশি ‘গম্ভীর’ বা ‘রাগী’, কেউ আবার বলেন তারা প্রেমিক ও আবেগপ্রবণ হয়।
সত্যি বলতে, চরিত্র নির্ধারণে বুকে চুল থাকাটা বড় কোনো মাপকাঠি নয়, তবে কিছু বৈজ্ঞানিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যার সঙ্গে মিলে যায় বলেই এর প্রতি কৌতূহল তৈরি হয়।
বুকে চুল থাকা মানেই কেউ ভালো বা খারাপ, এমন ভাবা ভুল। কিন্তু এটাও অস্বীকার করা যাবে না যে, মানুষের শরীর ও মন একে অপরের সঙ্গে অনেকভাবে যুক্ত।
Comments
Post a Comment